চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি না পর্যন্ত বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। হাইকোর্টের রুলটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবীরা।
এর আগে ২০২২ সালের ১ মার্চ পরীমনির বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত।
মাদকের এ মামলায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরীমনির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইলফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তারও আগে মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এক মাস হাজতবাসের পর তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার এক সহযোগীকে আটক করে র্যাব। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় গত ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদ জাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
আরও বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এছাড়া পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।